দূর্বল বাংলাদেশের স্বাস্থ্য খাত, বিদেশে চলে যাচ্ছে হাজার হাজার কোটি টাকা!
স্বাস্থ্য কর্মকর্তাদের মতে, অতিরিক্ত চিকিৎসা ব্যয় এবং চিকিৎসকদের আন্তরিকতার অভাবের কারণে বিদেশে যাওয়ার প্রবণতা বেশি।
আর্থিক খাতের বিশ্লেষকরা বলছেন, দেশের স্বাস্থ্য ও পর্যটন খাতকে আরও যুগোপযোগী ও আধুনিক করা না গেলে এসব খাতে ব্যয় বাড়তেই থাকবে।
বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর জরিপ অনুযায়ী, স্বাস্থ্য খাতে সবচেয়ে বেশি ব্যয় হয় বিদেশে।
বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর জরিপ অনুযায়ী, ২০১৮-১৯ অর্থবছরে দেশের মানুষ বিদেশ ভ্রমণে ব্যয় করেছে ৩৩ হাজার ৬৮৬ কোটি ৮০ লাখ টাকা। চিকিৎসা খাতে সবচেয়ে বেশি খরচ হয়েছে ১০ হাজার কোটি টাকা। তারপর পরিবহন খাত।
বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর জরিপ অনুযায়ী, ২০১৮-১৯ অর্থবছরে দেশের মানুষ বিদেশ ভ্রমণে ব্যয় করেছে ৩৩ হাজার ৬৮৬ কোটি ৮০ লাখ টাকা। চিকিৎসা খাতে সবচেয়ে বেশি খরচ হয়েছে ১০ হাজার কোটি টাকা। তারপর পরিবহন খাত।
পর্যটন বোর্ডের মতে, স্বাভাবিক সময়ে প্রতি বছর প্রায় ৩৫ থেকে ৪০ মিলিয়ন মানুষ বিদেশ ভ্রমণ করে। এর বিপরীতে বছরে মাত্র তিন থেকে সাড়ে তিন লাখ পর্যটক দেশে আসেন।
বাংলাদেশ পর্যটন বোর্ডের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা জাভেদ আহমেদ বলেন, আমাদের দেশের মানুষ যখন অন্য দেশে বেড়াতে যায় তখন তারা ডলার বা বৈদেশিক মুদ্রা নিয়ে যায়। এটা খুবই স্বাভাবিক। এমন নয় যে কোনো দেশে শুধু পর্যটক আসবে কিন্তু পর্যটকরা সে দেশ থেকে অন্য দেশে যাবে না।
জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ আবদুস সবুর বলেন, আমাদের এখানকার চিকিৎসকরা এতই ব্যস্ত যে রোগীদের সঙ্গে কথা বলার সময় পান না। তারপরও কেউ সুযোগ পেলে চিকিৎসার জন্য সিঙ্গাপুর, ব্যাংককে যাচ্ছেন। আর এর কারণ শুধু চিকিৎসা নয়, তাদের প্রতি আস্থা, সামাজিক মর্যাদা এসবের অভাব।
জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ আবদুস সবুর বলেন, আমাদের এখানকার চিকিৎসকরা এতই ব্যস্ত যে রোগীদের সঙ্গে কথা বলার সময় পান না। তারপরও কেউ সুযোগ পেলে চিকিৎসার জন্য সিঙ্গাপুর, ব্যাংককে যাচ্ছেন। আর এর কারণ শুধু চিকিৎসা নয়, তাদের প্রতি আস্থা, সামাজিক মর্যাদা এসবের অভাব।
স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা বলছেন, অতিরিক্ত চিকিৎসা ব্যয়, চিকিৎসকদের আন্তরিকতার অভাব, রাজনৈতিক নেতাদের বাইরে চিকিৎসা নেওয়ার প্রবণতাসহ নানা কারণে বিদেশে চিকিৎসা নেওয়ার প্রবণতা বাড়ছে।
অর্থনীতিবিদ ড.বজলুল হক খন্দকার বলেন, বিদেশ ভ্রমণে যে খরচ হচ্ছে তার মানে আমাদের দেশের অর্থনীতিতে কিছু যোগ হচ্ছে না। এখানে আমাদের জোর দেওয়া দরকার। আমাদের আরও নতুন পর্যটন কেন্দ্র তৈরি করতে হবে। এ জন্য সরকারি ও বেসরকারি খাতকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে বলেও মনে করেন তিনি।
অর্থনীতিবিদ ড.বজলুল হক খন্দকার বলেন, বিদেশ ভ্রমণে যে খরচ হচ্ছে তার মানে আমাদের দেশের অর্থনীতিতে কিছু যোগ হচ্ছে না। এখানে আমাদের জোর দেওয়া দরকার। আমাদের আরও নতুন পর্যটন কেন্দ্র তৈরি করতে হবে। এ জন্য সরকারি ও বেসরকারি খাতকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে বলেও মনে করেন তিনি।
আর্থিক খাতের বিশ্লেষকরা বলছেন, স্বাস্থ্য খাতের উন্নয়ন করে এই বিপুল অর্থ দেশে রাখা সম্ভব। একই সঙ্গে দেশের পর্যটন খাতে আরও অনেক উন্নয়নের সুযোগ রয়েছে।